খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই, সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো আছে। যে কারণে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ভয়াবহ বন্যায় ১৪ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল ও আটা সরবরাহের লক্ষ্যে তিন মাস স্পেশাল ওএমএস কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, খোলা আটা ২৪ টাকা এবং প্যাকেট আটা (২ কেজির প্রতি প্যাকেট) ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। গতকাল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতিসহ অভ্যন্তরীণ খাদ্য সংগ্রহ, মজুত পরিস্থিতি ও বন্যাদুর্গত জেলাগুলোতে সরকারি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন।
তিনি বলেন, এ স্পেশাল ওএমএস বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর ২৩০টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে। প্রতিকেন্দ্রে ১ মেট্রিক টন চাল ও ১ মেট্রিক টন আটা হিসেবে প্রতিদিন ২৩০ মেট্রিক টন চাল ও ২৩০ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হবে। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এ কার্যক্রমে সর্বমোট ১৪ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন চাল ও ১৪ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, প্রতি কেজি খোলা আটা ২৪ টাকা এবং প্যাকেট আটা (২ কেজির প্রতি প্যাকেট) ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।