ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার মার্জিন শিথিল করা হয়েছে। ভোগ্যপণ্য আমদানিতে এখন থেকে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এলসি মার্জিন ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার ও লেনদেনে কাক্সিক্ষত স্থিতিশীলতার ক্রমোন্নতি পরিলক্ষিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আমদানি বাণিজ্য সহজীকরণের মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়-শিল্প-বাণিজ্যকে গতিশীল করা এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যগুলোর সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মূল্যবান ধাতু ও মুক্তা ব্যতীত সব পণ্যের আমদানি ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। বিলাসজাতীয় পণ্য এবং অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত আমদানি বিকল্প পণ্যগুলোর আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে। যেমন মোটরকার (সেডানকার, এসইউভি, এমপিভি ইত্যাদি); প্রসাধনী; ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিকস হোম/অফিস অ্যাপ্লায়েন্স; আসবাবপত্র ও সাজসজ্জা সামগ্রী; স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকার; ফল ও ফুল; অ-শস্য খাদ্যপণ্য; তৈরি পোশাক; প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়। যেমন টিনজাত (ক্যানড) খাদ্য, চকলেট, বিস্কুট, জুস, কফি, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি; চামড়াজাত পণ্য; অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়; পাটজাত পণ্য; তামাক, তামাকজাত বা এর বিকল্প পণ্য।