যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে ছয় দিনে ১১১টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এ সময়ে গ্রেপ্তার করা হয় ৫১ জনকে। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- সাতটি রিভলবার, ৩০টি পিস্তল, নয়টি রাইফেল, ১৫টি শটগান, তিনটি পাইপগান, ১৬টি শুটারগান, পাঁচটি এলজি, ১৫টি বন্দুক, একটি একে-৪৭, একটি গ্যাসগান, একটি চাইনিজ রাইফেল, একটি এয়ারগান, তিনটি এসবিবিএল, তিনটি এসএমজি ও একটি গ্যাস লঞ্চার।
অভিযানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্টগার্ড ও র্যাব অংশ নিচ্ছে। এর আগে গত পাঁচ দিনের অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, দুটি রিভলবার, ১৮টি পিস্তল, দুটি রাইফেল, ১১টি শটগান, একটি পাইপগান, ছয়টি শুটারগান, তিনটি এলজি, তিনটি বন্দুক, একটি একে ৪৭, একটি গ্যাসগান, একটি চাইনিজ রাইফেল, একটি এয়ারগান ও তিনটি এসবিবিএল। পুলিশ সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করা হয়। এ সময় থানা ও ফাঁড়ি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়। ৩ সেপ্টেম্বর ছিল সেই অস্ত্র গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন। এর আগে গত রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সাম্প্রতিক সময়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট ও উদ্ধার হওয়ার পরিসংখ্যান থেকে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে লুট হওয়া বিভিন্ন অস্ত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৮টি। এর মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৯৩৩টি অস্ত্র। তবে রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি ও পিস্তলসহ এখনো উদ্ধার করা যায়নি ১ হাজার ৮৮৫টি অস্ত্র। এ ছাড়া প্রায় ৩ লাখ লুট হওয়া গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, গত পাঁচ দিনে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে চায় না ফাইফেল উদ্ধার হয়েছে ৮৩৯টি। তবে উদ্ধার হয়নি ২৯৬টি এ অস্ত্র। বাংলাদেশি রাইফেল উদ্ধার হয়েছে ৯টি। এ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি একটি। এসএমজি ১৯১টি উদ্ধার হলেও ৬০টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। ২১টি এলএমজি উদ্ধার হলেও ১১টি এখনো উদ্ধার হয়নি। পিস্তল ৭৩১টি উদ্ধার হলেও ৮২৫টি এখনো উদ্ধার হয়নি।
শটগান ১৬২৪টি উদ্ধার হলেও ৬৭টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। গ্যাস গান ৪৭৬টি উদ্ধার, উদ্ধার হয়নি ১১৭টি। টিয়ার গ্যাস লঞ্চার (সিক্স শট) উদ্ধার ৯টি, উদ্ধার হয়নি ৫টি এবং সিগন্যাল পিস্তল উদ্ধার একটি, উদ্ধার হয়নি দুটি।
এদিকে বিভিন্ন বোরের গুলি উদ্ধার হয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ৮৫৭টি, উদ্ধার করা যায়নি ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪০৫টি। টিয়ারগ্যাসের শেল উদ্ধার ২৩ হাজার ১৯৪টি, উদ্ধার করা যায়নি ৮ হাজার ৮১১টি। টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড উদ্ধার ৭০৪টি, উদ্ধার করা যায়নি ৭৫১টি। সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার ২ হাজার ১২৮টি, উদ্ধার সম্ভব হয়নি ২ হাজার ৫৬৪টি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক বলেন, পুলিশের লুট হওয়া সব ধরনের অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া লাইসেন্স নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযানও অব্যাহত আছে।