চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গতকাল দুপুরে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
মেডিকেল বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্ত্তী জানান, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এখন সুস্থ। তিনি অনেকটা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেন। সেজন্য সার্বিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সব প্রস্তুতি শেষে তাঁকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি জানান, শামসুদ্দিন মানিকের হার্টে সমস্যা আছে। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করেছিলেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে।প্রসঙ্গত, ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে বিজিবি। পরদিন সকালে তাঁকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠান সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন। ওইদিন আদালতে তোলার সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষুব্ধ জনতা শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে মারধর করে। তাঁর অ কোষেও গুরুতর আঘাত লাগে। আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।