জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা সহজ করতে মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোতে হেল্প ডেস্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কোন সেবার জন্য কোন ফরম কীভাবে পূরণ করতে হয়, কী তথ্য ও কাগজপত্র জমা দিতে হয় ইত্যাদি তথ্য অনেকেই না জানার কারণে দালালদের খপ্পরে পড়েন সেবাগ্রহীতারা। তা থেকে মুক্তি দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জানা গেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছে, সভায় ইসি সচিব শফিউল আজিম কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হেল্প ডেস্ক বসানো ছাড়াও বেশকিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে জারিকৃত পরিপত্রের বিষয়-সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করা, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে হয়রানি ও দালালমুক্ত করা, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে সর্বোত্তম আচরণ ও সেবা সহজীকরণ করে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে সম্প্রতি এক লিখিত আদেশ দিয়েছেন ইসি সচিব। এতে বলা হয়েছে, মাঠপর্যাযের কার্যালয়গুলোতে হেল্প ডেস্ক অ্যাকটিভ করে সেবাগ্রহীতাদের সেবা দিতে হবে।
এ ছাড়া মাঠপর্যায়ে বারবার তাগাদা দিয়েও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবার ভোগান্তি কমছে না। তাই এবার কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জানা গেছে, অনেক সংশোধনের আবেদন মাসের পর মাস পড়ে থাকে। অনেকের আবেদন ক্যাটাগরি (সংশোধনের জটিলতা অনুযায়ী ধরন নির্ধারণ) না করে ফেলে রাখা হয়। আর ক্যাটাগরিতে না ফেলা হলে সার্ভারে সংশ্লিষ্ট আবেদনের কোনো অগ্রগতি হয় না। ফলে শুরুতেই গতিহীন হয়ে পড়ে অনেকের আবেদন। বিষয়টি ইসি সচিবের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের কার দপ্তরে কোনো ক্যাটাগরিতে কত আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে তার তথ্য চাওয়া হয়েছে। আর তথ্য পাঠাতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ইসির এনআইডি অনুবিভাগের সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম এরই মধ্যে নির্দেশনাটি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সচিব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের তার আওতাধীন সব জেলার এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত তথ্য ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রেরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এক মাসের কম সময়ের কতটি আবেদন, এক মাসের বেশি তবে তিন মাসের কম সময়ের কতটি আবেদন, তিন মাস বা তার বেশি তবে ছয় মাসের কম সময়ের কতটি আবেদন এবং ছয় মাস বা ছয় মাসের বেশি সময়ের কতটি আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে আছে তা ক্যাটাগরি অনুযায়ী জেলা ভিত্তিক তথ্য পাঠাতে হবে।