গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত গণসংলাপে বক্তারা বলেছেন, ‘বিনা ভোটের এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী রাউজান উপজেলাকে সারা দেশের মধ্যে বিনা ভোটের মডেলে পরিণত করেছিলেন। রাউজানে কোনো উপজেলা, পৌরসভা কিংবা ইউপি নির্বাচনের ভোট হয়নি। স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারতেন না ৩ লাখ ভোটার। তিনি যাকে মনোনয়ন দিতেন তিনিই চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র হতেন। ভবিষ্যতে আর কেউ যাতে বিনা ভোটে নির্বাচিত না হতে পারেন সেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে।’ গণসংহতি আন্দোলন রাউজান উপজেলার উদ্যোগে ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পূর্ব ও পরবর্তী রাউজানের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসংলাপ’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল রাউজানের নোয়াপাড়া পথের হাটে একটি কনভেনশন হলে এ গণসংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
গণসংহতি আন্দোলন রাউজান উপজেলার সংগঠক মো. মোরশেদুল আলমের সভাপতিত্বে ও মো. হাবিবউল্লাহ রাসেলের সঞ্চালনায় গণসংলাপে অংশ নেন গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ রুমী, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক নাসির জসি, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রামের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সাহাদাৎ হোসেন তালুকদার, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সদস্যসচিব জাহেদুল আলম আল জাহিদ, গণসংহতি আন্দোলন চান্দগাঁও থানার আহ্বায়ক ইকবাল মাসুদ, বোয়ালখালী থানার আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মুক্তিয়ার প্রমুখ।
সংলাপে বক্তারা বলেন, ‘গণ অভ্যুত্থানে মানুষের ভিতর রাষ্ট্র পুনর্গঠনের যে আকাক্সক্ষা তৈরি করেছে, সেটার সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে কথা হচ্ছে। সেই বন্দোবস্ত হবে গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত। মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষাই ছিল একটি গণতান্ত্রিক দেশ। প্রতিটি সরকার মানুষের আকাক্সক্ষার মূল্য কম দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশটার জন্ম দিলেও তাদের অভিভাবক হতে দেওয়া হয়নি। হাজারো শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেটিকে বাস্তবে রূপায়ণ করতে হবে।’
অন্যদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. আবুল বশর, হাসান মুরাদ শাহ, শিক্ষক মোহাম্মদ খসরু, ইলিয়াস তালুকদার, মোহাম্মদ আরিফ, নাজমুল হাসান আসিফ, রুবেল হোসেন, শুভাশিষ ভট্টাচার্য, স্বপন আচার্য গণসংলাপে অংশ নেন।