জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছেন-তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করুন। আন্দাজে মামলা দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়। একটি সংগঠনের সবাই অপরাধী হতে পারেন না। গতকাল জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন ও মাশরুর মওলা।
জি এম কাদের আরও বলেন, ‘আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নিক। যাদের নিবন্ধন দিয়েছেন-তাদের কেন নির্বাচনে আসতে দেবেন না? ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩০টি আসন। তাদের ভোটের হার ছিল ৪৮.০৪। বিএনপি পেয়েছিল ৩০টি আসন। তাদের ভোটের হার ছিল ৩২.০৫। জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। ভোটের হার ছিল ০৭.০৭। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকের বাইরে রাখা হয়েছে। ৫০ শতাংশ মানুষের দলকে সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। এতে জাতিগতভাবে অবিশ^াসের সৃষ্টি হয়েছে। দেশে একটা অবিশ^াস ও সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
জেপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের জাতীয় পার্টিতে যোগদান : গতকাল জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন জেপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আফজাল হোসেন।