চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) অবশেষে নগরের ঝুঁকিপূর্ণ খাল-নালার পাড়ে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে নগরের অর্ধেক খাল-নালায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নগরবাসীর দাবি, সামনে আসছে বর্ষাকাল। তাই নগরের সবগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নালা-খালের পাড়ে যেন নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থা করা হয়। আগামী বর্ষায় যেন আর কোনো অঘটন দেখতে না হয়। চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম বলেন, চসিকের ছয়টি জোনের অধীন নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া শুরু হয়েছে। যেখানে বড় দৈর্ঘ্যরে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান আছে সেখানে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও, কর্ম দৈর্ঘ্যরে স্থানগুলোতে লোহার বেষ্টনী বা ইটের দেয়াল অথবা কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ করা হচ্ছে। আমার জোনে দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বাঁশের ঘেরাও, আধ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে লোহার রেলিং এবং ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ইটের নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। নগরের চিহ্নিত সবগুলো ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
জানা যায়, গত ৬ বছরে নগরে অন্তত ১৪ জন নারী-পুরুষ ও শিশু নিখোঁজ ও মৃত্যু হয়। সর্বশেষ গত ১৮ এপ্রিল নগরের চকবাজার কাপাসগোলা হিজড়া খালে পড়ে ছয় শিশু মারা যায়। এরপর টনক নড়ে চসিকে। চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে নগরের ঝুঁকিপূর্ণ নালা-নর্দমা ও খালের একটি তালিকা করে চসিক। তালিকা অনুযায়ী, নগরের ৪১ ওয়ার্ডে খাল নালা আছে ১ হাজার ১৩৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই খালের পাড় আছে ১৯ হাজার ২৩৪ মিটার। উন্মুক্ত নালা আছে পাঁচ হাজার ৫২৭টি স্থানে। তালিকা প্রণয়নের পরও অরক্ষিত থেকে যায় স্থানগুলো। ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্প নিয়ে চসিক-সিডিএ সমন্বয় সভা করে। সভায় দুর্ঘটনা রোধে খাল ও নালার পাড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই দুই সংস্থা। সেটিও বাস্তবায়ন হয়নি। বারবার সিদ্ধান্ত নিয়েও তা বাস্তবায়ন করা হয় না। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা।