মুখোমুখি অবস্থানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় দক্ষিণবঙ্গ অচল করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এর আগে উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষের করা মামলা ও জিডিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা মুচলেকা দিলে নাম প্রত্যাহারের ঘোণষা দেন। তবে নিজের অপসারণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি প্রসঙ্গে ভিসির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নামে যে মামলা ও জিডি রয়েছে তা শিক্ষার্থীদের মুচলেকার মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। অন্যদিকে, দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেক ছোট ছোট ইস্যু নিয়ে উপাচার্যের কাছে গিয়েছেন। কিন্তু আশানুরূপ কোনো সমাধান তিনি শিক্ষার্থীদের দিতে পারেননি। ১৮ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে বসার সুযোগ থাকলেও উপাচার্য একবারের জন্যও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো উদ্যোগ নেননি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।