বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আন্দোলনের শক্তিগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিলেও, সরকারের ভিতরেই দু-একটা ‘ভূত’ আছে। সেই ভূতগুলো বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। তিনি বলেন, কিছু মিডিয়া কয়েকটি ঘটনার প্রচার-প্রসার করে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল তথা তাদের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে ফলাওভাবে প্রচার-প্রকাশ করে। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘জিয়াউর রহমান আর্কাইভ’ প্রকাশনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা গণতন্ত্র কিংবা স্বাধীনতার নামে রাজনীতি করে স্বাধীনতার মূল স্পিরিটকে ক্ষুণ্ন করেছে, ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ছিল তাদের বিরুদ্ধে জনগণ ও সৈনিকদের সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া।
বিপ্লবের মহানায়কের ভূমিকায় ছিলেন জিয়াউর রহমান। যখনই আমরা সংকটে পড়ি, ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের জুলাই গণ অভ্যুত্থানও ছিল এই অনুভূতিরই প্রকাশ।
বিএনপির এ অন্যতম মুখপাত্র বলেন, জুলাই সনদকে আইনিভিত্তি দিতে হবে তাহলে আসল কাজটি কখন করবেন? ‘বিয়ে হবে’, ‘হলুদ হয়েছে’ সব আয়োজন হলো, কিন্তু বিয়ে সিদ্ধ করার কাজ বাকি রয়ে গেল এভাবেই কথা হচ্ছে।
বলা হচ্ছে- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন ও সংসদীয় প্রস্তুতি প্রয়োজন। জাতীয় নির্বাচন আগে না হলে আইনকরণ কীভাবে সম্পূর্ণ হবে- প্রশ্ন রাখেন তিনি।
রিজভী বলেন, নির্বাচন বিলম্বের কোনো কারণ নেই। বিলম্বের ফলে আমরা আজ অগণতান্ত্রিক শক্তির পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আওয়াজ পাচ্ছি। তাদের কণ্ঠস্বর ক্রমশ বাড়ছে। অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে হিংস্র বক্তব্য প্রচার হচ্ছে; লকডাউনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে; বিদেশ থেকে আর্থিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এসবের ছায়া দৃশ্যমান। টাকা-পয়সার অভাব নেই বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা পাচার করেছে; সেই টাকা দিয়ে বিশৃঙ্খলা করা সহজ। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টের নিষ্ঠুরতার চেহারা অনেক আগেই ছিল। তারা রাষ্ট্রক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের জঘন্য কাজ করেছে বাসে আগুন দেওয়া, মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি।