মিসরীয় পুরোনো ও ত্রুটিপূর্ণ বিমান ভাড়া করে আনার মাধ্যমে সরকারের ৭৪১ কোটি টাকা ক্ষতির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সাবেক বিচারপতি এ এফ এম মেজবাউদ্দিনসহ তিনজন। এ মামলায় এখনো চারজন পলাতক রয়েছেন। ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালতে গতকাল আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন উল্লিখিত তিনজন। তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তিনজনকে জামিনের আদেশ দেন। সাবেক বিচারপতি এ এফ এম মেজবাউদ্দিন ছাড়া জামিন পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক পরিচালক ফজলে কবির।
এ ছাড়া এ মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক পরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাবেক পরিচালক এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবু এসরার, সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আবুল হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইকবাল আহমেদ।
এ মামলায় ৪ নভেম্বর ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন আদালত। পলাতক থাকায় সাবেক বিচারপতি এ এফ এম মেজবাউদ্দিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাবেক পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশনস) ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ, সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল আলম সিদ্দিক (মো. এস এ সিদ্দিক), সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী, সাবেক এয়ারক্রাফট মেকানিক বর্তমানে প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, ইঞ্জিনিয়ার অফিসার (অব.) মো. জাহিদ হোসেন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা হীরালাল চক্রবর্তী, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার অশোক কুমার সর্দার, প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান।
পুরোনো ও ত্রুটিপূর্ণ মিসরীয় বিমান ভাড়া করে আনার মাধ্যমে ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা ক্ষতি হওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপপরিচালক জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।