২৫ মে, ২০২০ ২১:৩৭

লাকসামে আরও তিন জনের করোনা শনাক্ত

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

লাকসামে আরও তিন জনের করোনা শনাক্ত

কুমিল্লার লাকসামে সোমবার আরো তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে দাঁড়াল। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক, স্থানীয় একটি ফার্মেসির মালিক ও ওষুধ কোম্পানীর মেডিকেল প্রমোশন অফিসার।

লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও করোনা র‌্যাপিড রেসপন্স টিমের অন্যতম সদস্য ডা. মেহেদী হাসান জিতু জানান, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৪১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ৩৭৭ জনের। আজ নতুন তিন জনসহ সর্বমোট ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি ৩৩৮ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ। এখনো রিপোর্ট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ৩৫টি। এখানে এ পর্যন্ত কেউ করোনায় মারা যাননি। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনায় আক্রান্তদের কাউকে হোম আইসলোশনে এবং অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটের আইসলোশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। করোনা র‌্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যরা তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছে।

আজ নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ বছর বয়সী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক। তার বাড়ি লালমাই উপজেলার গোলাচৌঁ গ্রামে। ৩/৪দিন থেকে তার জ্বর ও গলাব্যথা থাকলেও বর্তমানে তার হাল্কা মাথা ব্যথা ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ নেই। দ্বিতীয় আক্রান্ত ব্যক্তি ৬৪ বছর বয়সী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপরীত পাশে একটি ফার্মেসির মালিক। তিনি পশ্চিমগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তার শরীরে প্রথমে জ্বর থাকলেও এখন তা নেই। তবে কাশি রয়েছে। আক্রান্ত ফার্মেসি মালিকের বাসার এক ভাড়াটিয়াও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানীর মেডিকেল প্রমোশন অফিসার। তার বয়স ৩০ বছর। তার শুকনো কাশি রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, গত কয়েকদিন থেকে লাকসামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। লাকসামে এ পর্যন্ত ৩৯ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৩৮ জনই পৌর শহরের। অন্য একজন উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দোখাইয়া গ্রামের এক যুবক। উপজেলায় প্রথম আক্রান্ত ওই যুবক নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি এখানে প্রথম করোনা জয়ী।

লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল আলী বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। যারা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ অন্যস্থান থেকে লাকসামে এসেছেন তাদেরকে কমপক্ষে তিনি ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, কারো শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক র‌্যাপিড রেসপন্স টিমকে অবহিত করুন। উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের টিম সর্বদা তৎপর রয়েছে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন 

সর্বশেষ খবর