রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

পাবনায় চাঞ্চল্যকর তৈয়ব হত্যা মামলার রায়

পাবনায় চাঞ্চল্যকর তৈয়ব হত্যা মামলার রায়
পাবনায় চাঞ্চল্যকর তৈয়ব হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ অমুল্য কুমার সরকার এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ আসামী ইতোমধ্যেই র্যাব ও পুলিশের সাথে এনকাউন্টারে নিহত এবং গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন।
 
মামলার বিবরনের বরাত দিয়ে পাবনা জজ ও দায়রা জজ কোর্টের স্পেশাল পিপি ( সরকারী কেৌশলী) আব্দুস সামাদ খান রতন জানান, ১৯৯৬ সালের ৯ মার্চ পাবনা কৃষি সমপ্রসারন বিভাগের কর্মচারী তৈয়ব আলী তার নিজ বাড়ি সদর থানার নলদা গ্রাম থেকে অফিসে আসার পথে শ্রীপুর গ্রামে একদল সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোতাহার হোসেন বাদী হয়ে ওইদিনই পাবনা সদর থানায় ১০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকতর্া সদর থানার এসআই শফিউদ্দিন দীর্ঘ আট মাস পরে ১৯৯৬ সালের ১৭ নভেম্বর ১০ জনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে।
উভয় পক্ষের শুনানী শেষে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর বিজ্ঞ আদালত সকল আসামীর বিরুদ্ধেই আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ এ রায় প্রদান করেন। রায়ে ১০ জন আসামীকেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
 
দন্ডপ্রাপ্তরা আসামীরা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর গ্রামের মোজাহের আলী, নাজির শেখ, সামাদ-১, সামাদ-২, মকবুল হোসেন, গয়েশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আলী মৃধা, আবু তাহের, মাসুদ খা, এস্কেন আলী ও বলয় মিসি্ত্র। এদের মধ্যে নাজির শেখ, ধলা সামাদ, লম্বা সামাদ, ইব্রাহিম মৃধা ও বলয় মিসি্ত্র ক্রসফায়ার ও প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হন।     
 
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন এবং আসামীপক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট সনত্ কুমার সরকার। রায়ে বাদী পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর