রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

এবার যন্ত্রে সার প্রয়োগ

এবার যন্ত্রে সার প্রয়োগ

যন্ত্রের সাহায্যে জমি চাষ, চারা রোপণের পাশাপাশি জমির ধান বা গম কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাজাতের কাজ শুরু হয়েছে অনেক দিন আগেই। জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগের কাজটি এতদিন মানুষই করত। কিন্তু এবার জমিতে সার প্রয়োগের কাজটিও করবে একটি যন্ত্র। এই যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ফার্ম মেশিনারী অ্যান্ড পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি (এফএমপিএইচটি) বিভাগ। যন্ত্রটির নাম 'ব্রি দানাদার ও গুটি ইউরিয়া সারের প্রয়োগ যন্ত্র'। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে যন্ত্রটির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ব্রি'র কর্মকর্তারা বলছেন, যন্ত্রটির সাহায্যে সার প্রয়োগ করলে সময় যেমন কম লাগবে, তেমনি ৫০ শতাংশ সার সাশ্রয় হবে। যন্ত্রটি হস্তচালিত। মূল্য ৬ হাজার টাকা। একজন শ্রমিক দিয়ে খুব সহজেই যন্ত্রটি চালানো সম্ভব। প্রতিদিন এক একরের বেশি জমিতে সার প্রয়োগ করা যাবে। রংপুর আঞ্চলিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গউছ আলী বলেন, আমন ও বোরো ক্ষেতে তিনবার ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়। এতে সার লাগে ৪০-৪৫ কেজি। যন্ত্রের সাহায্যে গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হলে সার লাগবে ২০ কেজি। একবারের বেশি সার প্রয়োগ করতে হবে না। এর আগে ২০১১ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ জমিতেই ধান বা গম কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাজাত করার যন্ত্র 'কম্বাইন হারভেস্টার' এবং চারা রোপণের যন্ত্র 'রাইস ট্রান্সপ্লান্টার' উদ্ভাবন করে। এ যন্ত্র দুটি রংপুরের কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর