শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা
চলছে দখল-দূষণ

শুকিয়ে গেছে নওগাঁর সাত নদী

শুকিয়ে গেছে নওগাঁর সাত নদী

নওগাঁ জেলায় ছোট ও বড় মিলে ৭টি নদী রয়েছে। নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো সেচ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী তীরের কয়েক হাজার কৃষক। বেকার হয়ে পড়েছে নদীনির্ভর মৎস্যজীবীরা। এলাকাবাসী বলছে পুনঃখনন না হলে এ অঞ্চলের নদীগুলো হারিয়ে যাবে কালের গর্ভে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই জেলার আত্রাই, ছোট যমুনা, তুলসীগঙ্গা, নাগর, শিব, ফকিরনি ও পুনর্ভবা নদী শুকিয়ে এখন পানি শূন্য। এসব নদী হাজার হাজার মানুষের জীবিকার উৎস। নদীর পানি ব্যবহার করে দুই পাড়ের মানুষ চাষাবাদ করে ফসল ফলায়। এখন বছরে মাত্র তিন থেকে চার মাস পানি থাকে এসব নদীতে। এরপর পরিণত হয় ধু-ধু বালুচরে। এদিকে শুকিয়ে যাওয়া নদীতে চলছে দখল ও দূষণের প্রতিযোগিতা। ছোট যমুনার দুই তীরেই অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। নদীর তীরে গড়ে তোলা চাতাল থেকে বিষাক্ত বর্জ্য ও ছাই ফেলা হচ্ছে নদীতে।

এ বিষয়ে নওগাঁ চাউল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি তফিকুল ইসলাম বাবু জানান, ছোট যমুনা এখন মৃত প্রায়। অনেক বড় বড় পাল তোলা নৌকা দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার এই নদীতে এখন ৬ মাস পানি থাকে না। আর দূষণের ব্যাপারে চাতাল মালিকদের সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলার ৭টি নদী দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে সম্প্রতি জেলা নাগরিক পরিষদ মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে। জেলা নাগরিক পরিষদের সভাপতি জাফর হোসেন জানান, নওগাঁর নদী দূষণ ও দখলের বিষয়টি প্রশাসন গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে দিন দিন এর মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি জয়পুরহাটের চিনিকল থেকে বিষাক্ত গাদ ফেলা হয় ছোট যমুনা নদীতে। এ কারণে নদীর মাছসহ জলজ প্রাণী মরে ভেসে ওঠে। অবৈধ দখল রোধ আর এসব মরা নদী রক্ষায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যর্থ চেষ্টা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। এ বিষয়ে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোক্তার হোসেন বলেন, আমরা অবৈধ দখলদারদের ব্যাপারে তালিকা প্রণয়ন করে জেলা প্রশাসককে দিয়েছি। এদিকে নওগাঁর জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, জনবল সংকটের কারণে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। তবে খুব শীঘ্রই এর কার্যক্রম শুরু করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর