রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

মিরসরাইয়ে \\\'জ্বিনের বাদশা\\\'সহ গ্রেফতার ২

মিরসরাইয়ে \\\'জ্বিনের বাদশা\\\'সহ গ্রেফতার ২

কখনও জ্বিনের বাদশা, কখনও জ্বিনের মেয়ে, আবার কখন গুপ্ত ধনের মালিক পরিচয় দিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন রুনা বেগম ও লাতু মিয়া দম্পতি। মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে নিজের ভাগ্য বদলালেও অবশেষে রুনা তার এক সহযোগীসহ ধরা পড়লেন স্থানীয়দের হাতে। আর স্থানীয় জনগণ তাদের তুলে দেন পুলিশের হাতে।

আজ রবিবার মিরসরাই উপজেলার আমবাড়িয়া এলাকায় প্রতারণা করতে গেলে রুনা বেগম (৪০) এবং পারভীন আক্তার (২৬) নামে তার এক সহযোগিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২টি দেব মূর্তি, ৮টি তামার পাতিল ও দুইটি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ ভূইয়া বলেন, নিজেদের জ্বিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে রুনা বেগম ও তার সহযোগী পারভীন মানুষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করছে বলে স্থানীয়দের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সকালে আমাবাড়িয়া একালায় এক মহিলাকে স্বর্ণের দেব মূর্তি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করতে গেলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করে। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ জানায়, আটককৃত রুনা বেগমের বাড়ি উপজেলার মিঠাছড়া এলাকার গড়িয়াইশ গ্রামে। এছাড়া পারভীন আক্তার ফেনীর দমদমা এলাকার কাটাছড়া গ্রামের রুবেল হোসেন ওরফে নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, আটকৃত রুনা বেগম নিজেকে জ্বিনের বাদশা দাবি করে অলৌকিক ক্ষমতা বলে রোগ মুক্তি, সমস্যা সমাধান, গুপ্ত সম্পদ (স্বর্ণের পাতিল, কলসিসহ মূল্যবান সম্পদ) প্রাপ্তির মাধ্যমে বড়লোক হওয়ার লোভ দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

মিরসরাই থানার সেকেন্ড এসআই আক্কাস আলী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কথিত জিনের বাদশা রুনা বেগম প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার দায় স্বীকার করেছে। তার সাথে একটি প্রতারক চক্র কাজ করছে বলেও জানিয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের পর তদন্তের মাধ্যমে বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে।

সর্বশেষ খবর