বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০১৪ ০০:০০ টা

দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে খুন

দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে খুন

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে গণি ফকির (৫৬) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত সোহেল রানা (২৮) নামের এক যুবককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুল ওয়াহাব ওরফে কুপন (৩৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলাকারীরা হতাহতদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গণি ফকির উপজেলার দিয়ার সাহাপুর গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে। আহত সোহেল রানা একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা দু'জন সম্পর্কে প্রতিবেশী চাচা-ভাতিজা। অপরদিকে আটক আব্দুল ওয়াহাব ওরফে কুপন সাড়া গোপালপুর গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে।

আহত সোহেলের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বিমান কুমার দাশ জানান, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন গণি ফকির ও সোহেল। পথে নতুনহাট মোড় থেকে দিয়ার সাহাপুরের আঞ্চলিক সড়কে নামার সাথে সাথে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাদের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে তাদের উপর হামলা চালান।

এক পর্যায়ে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে গণি ফকিরকে হত্যা করে। আহত সোহেলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা ও পাকশী হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার ও অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আব্দুল ওয়াহাব ওরফে কুপনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে।

গুরুতর আহত সোহেলকে প্রথমে ঈশ্বরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহত সোহেলের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, নতুনহাট মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধ ও বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সোহেল ছিল একটি মামলার বাদী। পুলিশের ধারণা এ বিরোধের জের ধরেই প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর এ হামলা চালিয়েছে।

সর্বশেষ খবর