বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০১৪ ০০:০০ টা

হিদাডাঙ্গা মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

হিদাডাঙ্গা মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদরে অবস্থিত হিদাডাঙ্গা মোমেনা সুফিনাজ দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুপারের নিয়মিত মাদ্রাসায় হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও সহ-সুপারের নিকট দায়িত্ব দিয়ে নিজের ব্যাক্তি গত কাজে বাহিরে থাকেন। মাদ্রাসাটি দাখিল ও এবতেদায়ী পরিক্ষার একটি মাত্র কেন্দ্র। এটি উপজেলার প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত হলেও বর্তমানে মাদ্রাসার বেহাল দশা। মাদ্রাসায় প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কম্পিউটার শিক্ষক থাকা সত্তে ও অস্পষ্ট হাতের লেখে প্রশ্ন পত্র দিয়ে অর্ধবার্ষিকী পরিক্ষা নেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসাটি এবতেদায়ী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত মোট পরিক্ষার্থী ২১০জন।

মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মো. মাসুম শরিফ, মো. হাদিউর জামান, ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সৈয়দ সবুর আলী, ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মহিবুল্লাহ, মো. ইমাম হোসেন ও রমজান আলী জানান, প্রশ্নপত্র হাতের লেখা অস্পষ্ট থাকায় আমরা প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারি নাই। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. হাফিজুর রহমান জানান, মাদ্রাসার কম্পিউটর, ল্যাপটপ, প্রিন্টিার, প্রজেক্টর মাদ্রাসা সুপার বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীদের গৃহ শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, সুপার মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম করে যাচ্ছেন। আমরা এ ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

মাদ্রাসা সুপার মো. নুরুল ইসলাম মিলু বলেন, হাতের লেখা প্রশ্ন দেখেছি কিন্তুু প্রশ্ন আগে দেখলে কম্পিউটার করে দিতাম। অন্যন্য অভিযোগের বিষয় তিনি অনিহা প্রকাশ করেন। ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ডা. সৈয়দ আছাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে আমি দ্রুত পদক্ষেপ নিব।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা ম্যাধমিক শিক্ষা অফিসার মোসাঃ মাহাফুজা বেগম বলেন, সুপার নিজের ইচ্ছা কাজ করতে পারবে না। প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীরা পড়তে পারবে সেই ভাবে প্রশ্ন করতে হবে। বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
 

সর্বশেষ খবর