বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

ফিরছে টাঙ্গাইলের উচ্ছেদ হওয়া যৌনকর্মীরা, এলাকায় উত্তেজনা

ফিরছে টাঙ্গাইলের উচ্ছেদ হওয়া যৌনকর্মীরা, এলাকায় উত্তেজনা

টাঙ্গাইল পতিতাপল্লী থেকে উচ্ছেদ হওয়া যৌন কর্মীরা আবার যৌনপল্লীতে ফিরতে শুরু করেছে। আজ বুধবার দুপুর থেকে টাঙ্গাইল কান্দাপাড়া থেকে উচ্ছেদ হওয়া জায়গায় খোলা আকাশের নীচে একে একে জড়ো হতে থাকে যৌনকর্মীরা। বিকেল পর্যন্ত ৫/৬ যৌনকর্মী উপস্থিত হয়ে পলিথিন টাঙ্গিয়ে বসে পড়ে। তারা বড় বড় হাড়িতে খিচুড়ি রান্নার আয়োজন করেছে। উপস্থিত যৌনকর্মীরা বলেছে, তাদের উচ্ছেদ হওয়া সকল মেয়েই রাতের মধ্যে যৌনপল্লীতে এসে পৌছাবে।

রোজিনা (সদ্য নাম) নামে এক যৌনকর্মী জানায়, 'আর কোন অশুভ শক্তিই আমাদের এ জায়গা থেকে সরাতে পারবে না। যারা উচ্ছেদ করেছে, তারা যে অন্যায় করে আমরা সে রকম অন্যায় করি না। শুধু আমরা দেহ বিক্রি করে জীবন ধারণ করি। মরলে আমরা এই জমিতেই মরতে চাই।'

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির আন্দোলনের মুখে গত ১২ জুলাই রমজান মাসে প্রায় দুইশ’ বছরের পুরনো কান্দাপাড়া যৌনপল্লীর সাড়ে ৮শ’ যৌন কর্মীসহ প্রায় ২ হাজার নারী-শিশু একরাতেই তাদের আবাসন ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে যৌনপল্লী এলাকা জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। যৌনকর্মীরা চলে যাওয়ার পর থেকেই যৌনপল্লীর ঘরবাড়ি ভাঙ্গার কাজ শুরু করে দেয় ৫৬ জন বাড়ির মালিক ও সর্দারনীরা। সর্দারনী ও যৌনকর্মী মিলে প্রায় ৯শ’ যৌনকর্মী এখানে যৌন পেশায় নিয়োজিত ছিল। প্রায় দুইশ’ বছর আগে লৌহজং নদীর তীরবর্তী কান্দাপাড়া নামক স্থানে এই যৌনপল্লী গড়ে ওঠে।

তবে কেউ কেউ ফিরে আসা যৌনকর্মীদের উপর হামলা হতে পারে বলে আশংকা করছে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে প্রধান করে ৩ সদস্যের যৌনপল্লী বিষয়ক একটি কমিটি রয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের সাথে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ জানান, যৌনকর্মীরা ফিরছে, এ বিষয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। তবে কাউকে আইনশৃংখলা বিঘ্ন ঘটাতে দেওয়া হবে না।

এদিকে আসরের নামাজ শেষে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে একটি মিছিল যৌনপল্লীর দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ টাঙ্গাইল মডেল থানার সামনে আটকে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সর্বশেষ খবর