শিরোনাম
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

এক্স-রে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন নষ্ট, নেই শিশু বিশেষজ্ঞ

এক্স-রে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন নষ্ট, নেই শিশু বিশেষজ্ঞ

সমস্যায় জর্জরিত পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল। চিকিৎসক, নার্স, ওষুধ, শয্যাসহ প্রয়োজনীয় কিছুই নেই এই হাসপাতালে। দৈনিক চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হন ১৫০ থেকে ২০০ রোগী। এরমধ্যে অর্ধেকই শিশু। কারণ এখানে নেই শিশু বিশেষজ্ঞ। হাসপাতালের তিনটি এক্স-রে মেশিনের দুটি এবং আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এছাড়া দুর্গন্ধ, অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার, যেখানে সেখানে আবর্জনা অস্বাস্থ্যকর করে তুলেছে পরিবেশ। কয়েকজন রোগী জানান, এই হাসপাতালে গরিবের চিকিৎসা নাই। হাসপাতালটিতে প্রতিদিন ২০০ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। শয্যার অভাবে এদের থাকতে হয় বারান্দা বা মেঝেতে। রাতে ডাক্তার-নার্স কোনোটাই পাওয়া যায় না। জানা যায়, ১৯৯৪ সালে ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয় হাসপাতালটি। ৩৬ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও আছেন আটজন। সেবিকার ৩৬টি পদের বিপরীতে কর্মরত ১৭ জন। এরমধ্যে সাতজন ডেপুটেশনে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তিনটি এক্স-রে মেশিনের মূল দুটি এবং আল্ট্রাসনোলজিস্ট না থাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ডেন্টাল চেয়ার নেই বহুদিন। লক্কর-ঝক্কর একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও সেটি ৪০ কিলোমিটারের বেশি যেতে পারে না। নেই নিজস্ব চালকও। গাইনি কনসালটেন্ট নাই। অথচ মাসে নরমাল ডেলিভারি হয় ৬০/৬৫টি এবং সিজার করতে হয় ৭৫/৮০টি। একজন মেডিকেল অফিসার কোনোমতে চালিয়ে যাচ্ছেন এ কাজ। শীত বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় বাবা-মারা চিন্তিত। চক্ষু, চর্ম, নাক, কান, গলা, রেডিওলোজিস্ট বিশেষজ্ঞ নেই। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাজিউর রহমান বলেন, প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়। ওষুধ না পাওয়ার কথা সত্যি নয়। সিভিল সার্জন ডা. আহাদ আলী বলেন, উপরে বার বার চিঠি দিয়েও কাজ হয় না। সমস্যাগুলো সমাধান হলে হাসপাতালটিতে রোগীরা ভাল সেবা পাবেন।

সর্বশেষ খবর