ঝালকাঠিতে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শহরের কুমার পট্টি সড়কের প্রায় সব দোকান থেকে পুলিশকে ইফতার খাওয়ানোর কথা বলে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা হারে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। চাঁদা তোলার সময় বলা হয়েছে, এতে চেম্বার অব কমার্সের অনুমতি রয়েছে। এতে কাপুরিয়া পট্টি, কুমার পট্টিসহ কয়েকটি সড়ক থেকে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক জানতে চাইলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। গতকাল বিকাল ৩টায় পুলিশের কর্মকর্তারা ও চেম্বার সদস্য, চেম্বার সভাপতির কাছে আলোচনায় বসে চাঁদা উত্তোলনকারীদের ডেকে আনা হয়। জেরা করলে তারা বলে, পুলিশের জন্য নয়। নিজেরা মিলে ইফতার করার জন্য ৫০-১০০ টাকা করে তোলা হয়েছে। আর এরকম তুলবে না বলে তারা ওয়াদা করে। জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী লুৎফুর নাহার লুনা, ব্যবসায়ী লিটু মোর্শেদ ও পরিমল চন্দ্র দেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বড় দোকান ৫০০, মাঝারি দোকান ৩০০ ও ছোট দোকান ২০০ টাকা হারে চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে। লুৎফুর নাহার লুনা বলেন, প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও এ এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫০-১০০ টাকা করে তুলেছি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও যুব মহিলা লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে অপপ্রচার চালিয়েছে। অপর ব্যবসায়ী লিটু মোর্শেদ জানিয়েছে আমরা চেম্বার কর্মকর্তাদের জানিয়েই এ উদ্যোগ নিয়েছিলাম। বিভিন্ন মহলের অপপ্রচারের কারণে চেম্বারের নির্দেশেই বন্ধ করে দিয়েছি। চেম্বার সভাপতি সালাহউদ্দীন আহমেদ সালেক জানান, চেম্বার অব কমার্স এভাবে টাকা তোলার অনুমতি দেয়নি। তারা পুলিশকে ইফতার করাবে বলে জানালে তাদের ব্যক্তিগত আয়োজনের কথা বলা হয়েছিল। সেখানে তাদের এই ভূমিকা দুঃখজনক।