বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

১৯ নারী-পুরুষকে মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ

ধামরাই প্রতিনিধি

১৯ নারী-পুরুষকে মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ

ঢাকার ধামরাইয়ের চৌহাট ইউনিয়নে ১৯ নারী-পুরুষকে মৃত দেখিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা বয়স্ক ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। জীবিত ব্যক্তিদের মৃত ঘোষণার এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েকদিন ধরে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, ইউনিয়নের চৌহাট গ্রামের জহুরা, হবিবুর, তারাবানু, রুপজান, রোকিয়া, বাঙ্গালা গ্রামের নজিমুদ্দিন, দক্ষিণ চৌহাট গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল বারেক, মনহাপুর গ্রামের মালেকাসহ ১৯ জনকে কাগজপত্রে মৃত দেখিয়ে দেড় বছর ধরে তাদের ভাতার টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদের পরিবর্তে উৎকোচের বিনিময়ে অন্যদের ভাতার বই করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী ১৯ নারী-পুরুষ বয়স্ক ভাতা না পেয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাপাতি করছেন। রোকিয়া, তারাবানু ও মালেকা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা জীবিত থাকতেও চেয়ারম্যান-মেম্বাররা আমাদের মেরে ফেলল। যার কারণে দেড় বছর ধরে বয়স্ক ভাতার টাকা পাচ্ছি না। আর চেয়ারম্যান বলছে তোমাদের টাকা ব্যাংকে জমা হচ্ছে।’ চৌহাট ইউনিয়নের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনিচ্ছা হাশেম লাভলী সাতজনের ভাতা বন্ধ হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সামছুল ইসলাম জানান, তার জীবিত মাকেও মৃত দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন ওই চেয়ারম্যান। ধামরাই উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পরে সংবাদটি না লেখার অনুরোধ করেন। যাদের ভাতা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে তাদের পুনরায় ভাতা চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর