সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কোটি টাকার কয়েন এখন গলার কাঁটা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

বস্তা বস্তা কয়েন। এক টাকা, দুই টাকা, পাঁচ টাকা। সবমিলিয়ে কোটি টাকারও বেশি। বিপুল পরিমাণ এই টাকা এখন যশোরের বেকারি মালিকদের গলার কাঁটা। এই টাকা না নিচ্ছে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, না নিচ্ছেন মহাজনরা। মেঘনা বেকারির মালিক সিরাজুল ইসলাম বললেন, তার কাছে এক লাখ ২০ হাজার টাকার কয়েন জমে গেছে। নিউ মাসুম বেকারির মালিক মোহাম্মদ বারেকের কাছে জমে গেছে দেড় লাখ টাকার কয়েন। জেসকো ফুডের শফিকুর রহমানের কাছে জমেছে ৮০ হাজার টাকার কয়েন। জেলা বেকারি মালিক সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যশোরে একশ’র ওপর বেকারি। যেখানে মালিক, শ্রমিক, সেলসম্যান মিলিয়ে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ কাজ করেন। এসব বেকারির কারখানায় উৎপাদিত খাদ্যপণ্যগুলোর বেশিরভাগের মূল্য এক, দুই, তিন ও পাঁচ টাকা। ফলে বাধ্য হয়েই তাদের কয়েন লেনদেন করতে হয়। বেকারি মালিকদের কাছে জমে যাওয়া বিপুল পরিমাণ এ কয়েনের কোনো গতি করা সম্ভব না হলে স্বল্প পুক্ষুঁজির এ ব্যবসায়ীরা পথে বসে যাবে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিপুল পরিমাণ এ কয়েনের কোনো গতি না হলে এক সপ্তাহের মধ্যে সব বেকারি বন্ধ হয়ে যাবে। জমে যাওয়া বিপুল পরিমাণ এ কয়েনের গতি করার দাবিতে গতকাল রবিবার সকালে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বেকারি মালিক সমিতির নেতা-কর্মীরা। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সোনালী ব্যাংক যশোর করপোরেট শাখার এজিএম সাজ্জাদুল আলম বলেন, ‘কয়েন একেবারে নিচ্ছি না, তা ঠিক নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকও আমাদের কাছ থেকে সীমিত আকারে কয়েন নিচ্ছে, সে কারণে আমরাও সীমিত আকারে কয়েন নিচ্ছি। কেউ ২০০ কয়েন আনলে আমরা একশ’ কয়েন নিচ্ছি। কাউকে ফেরাচ্ছি না।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর