বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কুমিল্লার ২০০ স্থানে চোরাই তেল বিক্রি, ঘটছে দুর্ঘটনা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে দুই শতাধিক স্থানে প্রকাশ্যে চলে চোরাই তেল বিক্রি। এসব তেলের অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। সড়কের পাশে অবৈধ তেল বিক্রির কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের হাড়িসর্দার বাজারে অবৈধভাবে তেল বিক্রির সময় তেলের বাউচারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুড়ে যায় বাউচারসহ দুটি পিকআপ ভ্যান ও চারটি দোকান। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লা অংশে রয়েছে ১০০ কিলোমিটার এলাকা। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র পদ্মা অয়েল, যমুনা অয়েল, মেঘনা অয়েল বাউচার গাড়ির হেলপার ও চালকের সঙ্গে চুক্তি করে অবৈধভাবে পেট্রল, অকটেনসহ তেল ক্রয় করে তা প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের চঁন্দ শ্রী, হাড়িসর্দার, বাতিসা, আমানগণ্ডা, জগন্নাথদীঘি, দত্তসার, পদুয়া; সদর দক্ষিণের সুয়াগাজী, পদুয়ার বাজার; সদরের আলেখারচর, বুড়িচংয়ের কাবিলা, নিমসার; চান্দিনা সদর, মাধাইয়া ও কটুম্বপুর; দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ, গৌরিপুর ও বিশ্বরোডসহ দুই শতাধিক স্থানে গড়ে উঠেছে চোরাই তেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ জানায়, জানায়, গত ৬ জুলাই পদ্মা অয়েলের পেট্রলভর্তি একটি লরি (চট্ট মেট্রো-ঢ-০৮-০০০৬) চট্টগ্রামের সিভিও পেট্রকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড, ৩৭ কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার বলিয়া এলাকার জনতা ট্রেডার্সে যাচ্ছিল। পথে চালক ও সহকারীর যোগসাজশে ফেনীর এমএম ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার স্বপন প্রকাশ আরমান ও চৌদ্দগ্রামের বাতিসার আমজাদের বাজারের স্বাগতম ডেকোরেটরের মালিক সোহেলের কাছে কয়েক ড্রাম পেট্রল বিক্রি করে। বাকি পেট্রল একই উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভেতরে কনকাপৈতের দৌলতপুরের বদি আলমের চায়ের দোকানের সামনে নামানোর সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লরিচালক ও হেলপারকে আটক করে। ওই সময় সেখানে চোরাই পেট্রলের জন্য ছয়টি খালি ড্রামসহ অপেক্ষমাণ একটি পিকআপও (ঢাকা মেট্রো- ন- ১৬- ৫৯০১) জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পূর্বাঞ্চলের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি এতোদিন আমাদের ধারণায় ছিলো না। মঙ্গলবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের পর বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি। শিগগিরই এসব তেলের দোকানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর