বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অপহরণ মামলার আসামি ছেড়ে দিল পুলিশ

এক মাসেও উদ্ধার হয়নি ভিকটিম

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রবাসীর স্ত্রীকে অপহরণের পর পাচারের ঘটনায় মামলা নিতে বাদীর কাছ থেকে নেওয়া হলো ১০ হাজার টাকা। আর লোক দেখানো অভিযানে প্রধান আসামিকে আটক করে বাদীর উপস্থিতিতে তাকে ছেড়ে দিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায়। এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ওসি বলেন, আমি কিছুদিন থানার বাইরে ছিলাম। তাই দেরিতে মামলা নেওয়ার কারণ জানা নেই। বিষয়টি জেনেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ভিকটিম উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। জানা যায়, গোপালপুরের হাদিরা গ্রামের ছান্নাউল্লার ছেলে কুয়েত প্রবাসী মফিজের স্ত্রী খাদিজাকে ঢাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত ৩ অক্টোবর বাড়ি থেকে নিয়ে যায় অপহরণকারী চক্র। ৫ অক্টোবর খাদিজার বাবা এ ঘটনায় গোপালপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ১৫ অক্টোবর খাদিজা তার ছোট ভাই গোলাপ হোসেনকে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাকে অপহরণ করা হয়েছে। হাদিরা গামের হামিদ ও সুমনকে ধরলেই আমাকে উদ্ধার করতে পারবি। ভারতে পাচারের জন্য কোনো একটি বাড়িতে আটকে রেখেছে। আমি পাচারকারীদের মোবাইল দিয়ে কৌশলে তোকে ফোন করেছি।’ কথা শেষ না হতেই তার হাত থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এ অবস্থায় খাদিজার বাবা ও ভাই গোলাপ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ টালবাহানা করতে থাকে।

পরে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ২৩ অক্টোবর হামিদ ও সুমনকে আসামি করে পাচার মামলা করেন খাদিজার বাবা। তদন্তকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন গত রবিবার লোক দেখানো অভিযান চালান। এ সময় প্রধান আসামি হামিদকে ধরা হলেও বাদীর সামনেই পুলিশের হাত থেকে তিনি পালিয়ে যান।

সর্বশেষ খবর