জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্ধা গ্রামে চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আলীর ঘুষিতে একটি দাঁত ভেঙে যায় হামিদুল ইসলামের। এই দাঁত ভাঙাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও পাল্টাপাল্টি পাঁচটি মামলা হয়েছে। প্রতিপক্ষের দ্বারা ফের আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে দেড় মাস ধরে বাড়িছাড়া এক পরিবারের নারী-শিশুসহ ২০ সদস্য। জানা গেছে, হাতীবান্ধা গ্রামের হাবিবুর রহমান ও রফিক গংয়ের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের হামলায় হাবিবুরের ছেলে হামিদুলের একটি দাঁত ভেঙে যায়। এ নিয়ে একই গোষ্ঠীর দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। একই ঘটনায় হাবিবুর রহমানের সমর্থক আমিনুল মেম্বারের ঘরে হামলা ও মালামাল লুট করে রফিকের লোকজন। তারা আমিনুলের স্ত্রীকে পিটিয়ে হাত-পাও ভেঙে দেয়। প্রতিপক্ষের ভয়ে হাবিবুর, আমিনুল, আবুল হাসানসহ তাদের পরিবারের ২০ জন এখন বাড়িছাড়া। আমিনুল মেম্বারের অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে আমেনা বেগম নানা বাড়ি থেকে কোনো রকম জেএসসি পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। পালিয়ে বেড়ানোদের মধ্যে একজন আ. রাজ্জাক মিয়া। প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকিতে তার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলের লেখাপড়া প্রায় অনিশ্চিত। ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন জানান, বিষয়টি ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ আকার ধারণ করেছে। ঝিনাইগাতি থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, দুই পক্ষের পাঁচটি মামলা তদন্তাধীন। তবে এক পরিবারের ২০ জন পলাতক রয়েছেন এমন তথ্য পুলিশের কাছে নেই।