বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নববধূকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার

মায়ের কাছে ফেরা হল না সুষমার

বাগেরহাট প্রতিনিধি

‘আমি নীচু ঘরের মেয়ে, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে দাদা, তুমি এসে আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাও।’ এই বলে ছোট ভাইয়ের কাছে শেষ আকুতি জানিয়ে ছিল কলেজছাত্রী নববধূ সুষমা অধিকারী (২১)। কিন্তু মায়ের কাছে ফেরা হয়নি তার। স্বামীর পরিবারের অমানুষিক নির‌্যাতনে বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় তার। এই মৃত্যুকেই আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে স্বামীর পরিবার। বাগেরহাট পুলিশ সুপার বরাবর এমনই অভিযোগ করেছেন সুষমার ভাই মৃদুল।

মৃদুল গতকাল জানান, মোল্লাহাট উপজেলার বড়গাওলা গ্রামের মধুসূদন অধিকারীর মেয়ে কলেজছাত্রী সুষমার সঙ্গে গত ১৪ মে সদর উপজেলা লাউপালার সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মনোতোষের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুকের জন্য মনোতোষ, তার মা ও ভাই সুষমাকে শারিরীক ও মানসিক নির‌্যাতন করতে থাকেন।

গত ৩ নভেম্বর ছোট ভাইয়ের কাছে ফোন করে নির‌্যাতনের কথা বলে কান্নাকাটি করে বলেছিল তাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু মায়ের কাছে ফিরতে পারেনি সে। ওই দিন বেলা আড়াইটায় তার বাবার বাড়িতে খবর দেওয়া হয় সুষমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃদুল অভিযোগ করে বলেন, তারা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে এসে শুধু বোনের লাশটি দেখেছেন। ঘটনার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। এরপরও থানা পুলিশ হত্যা মামলা নেয়নি। উল্টো ব্যাংক কর্মকর্তা মনোতোষ প্রভাব খাটিয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছেন। এখন থানা পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালীরা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি দাবি করেন।

সর্বশেষ খবর