রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গত ছয় মাসে ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৯২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। এসব ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৩২ জন। আর এ সময়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে সাতজন। রাজবাড়ী জেলাকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজবাড়ী জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ছয় মাসে উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ছয়টি দেশি বন্দুক, দুটি বিদেশি বন্দুক, আটটি রিভলবার, দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশি পিস্তল, দুটি পাইপগান, ২১টি সার্টারগান ও দুটি এলজি বন্দুক। অস্ত্র উদ্ধারকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুযুদ্ধে নিহত হয় চরমপন্থী অমল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডার আলী জামান, মাওবাদী বলশেভিক অর্গানাইজেশন মুভমেন্টের (এমবিআরএম) সেকেন্ড ইন কমান্ডার শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি শাহীন, ডাকাত ওমর খা, কামাল হোসেন, আব্দুস সোবহান, চরমপন্থী আব্দুর রব ও গোয়ালন্দের আরশাদ। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, ‘রাজবাড়ী জেলা সর্বহারা ও চরমপন্থী অধ্যুষিত। এ জেলার সঙ্গে পাঁচটি জেলার সীমানা রয়েছে। যে কারণে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জানমালের নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যথোপযুক্ত কৌশল, সমন্বয়, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা, শক্তিশালী গোয়েন্দা কার্যক্রম এবং ধারাবাহিকভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এ জেলায় চরমপন্থী নির্মূলের একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা এ পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে চাই।’