চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেলের জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে গতকাল হামলা চালিয়েছে দখলদাররা। এ সময় পুলিশ প্রায় ৪০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলা ও গুলিতে আহত হয়েছেন চারজন। এদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার থেকে শুরু হওয়া অভিযানের দ্বিতীয় দিনে গতকাল দুই শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বেলা ১২টার দিকে মহানন্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাড়ি উচ্ছেদ চলাকালে এক কিশোর ইটের নিচে চাপা পড়েছে অভিযোগ তুলে দখলদাররা একত্রিত হয়ে অভিযান পরিচালনাকারীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় বুলডোজারটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তত ৪০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী পশ্চিমাঞ্চল রেলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেলের প্রায় ৩০০ বিঘা সম্পত্তিতে ৮০০ অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। ইতোপূর্বে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলেও দখলদাররা সরিয়ে না নেওয়ায় রবিবার থেকে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এতে স্থানীয় পুলিশসহ রেল পুলিশ সহায়তা করছে। কিন্তু গুজব তুলে দখলদাররা সোমবার তাদের ওপর হামলা চালিয়ে অভিযান বাধাগ্রস্ত করেছে। এতে উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবহৃত বুলডোজারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, যারা ৯১ সালের আগে রেল থেকে সম্পত্তি লিজ নিয়েছেন এবং কাগজপত্র রয়েছে তারা বৈধ। যারা ৯১ সালের পর রেলের কাছ থেকে কাগজ করেছে তাদের অবৈধ বলে জানান তিনি। এদিকে ৯১ সালের পর রেলের এক কানুনগোর মাধ্যমে জেলার অনেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে কাগজপত্র করিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এ সময় রেলের সম্পত্তি বেহাতের জন্য কানুনগো জিয়াউল হক জিয়া দায়ী বলে মোস্তাক আহমেদকে জানালে তিনি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান।