বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সখীপুরে বনের ভিতর ৫০ অবৈধ করাতকল

উজাড় হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল

মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের সখীপুরে সংরক্ষিত বনের ভেতরে গড়ে উঠেছে ৫০টি অবৈধ করাতকল। করতাকলগুলোতে দিন-রাত অবাধে চিরানো হচ্ছে বনের কাঠ। ফলে উজাড় হচ্ছে সামাজিক ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল। রাতারাতি গড়ে ওঠা এসব করাতকলের অধিকাংশ সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তার কার্যালয়ের অদূরে। নিয়মনীতি না মেনে করাতগুলো স্থাপন করা হলেও এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না স্থানীয় বন কর্মকর্তারা। জানা গেছে, প্রতিমাসে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কোটি কোটি টাকা মূল্যের কাঠ এসব করাতকলে চেরাই করে পাচার হচ্ছে। করাতকল থেকে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত মাসোয়ারা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সংরক্ষিত বনঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের ভেতরে করাতকল স্থাপনের বিধান না থাকলেও সখীপুরের তিনটি রেঞ্জের অধীনে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যেই করাতকলগুলো গড়ে ওঠেছে।স্থানীয় যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুর রহমান বাবুল জানান, করাতকলগুলোর কারণে বন উজাড় হচ্ছে। ২০১২ সালে অবৈধ এসব কারতকল উচ্ছেদ করা হলেও কে বা কারা ফের এগুলো স্থাপন করেছে। বনাঞ্চল রক্ষার্থে করাতকলগুলো বন্ধ করা উচিত বলেও জানান তিনি। সখীপুর বনবিভাগের বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম মাসোয়ারার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, অবৈধ করাতকল উচ্ছদ করতে হাই কোর্টের নির্দেশ আছে। ইতোমধ্যে নাম ও তালিকা উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা বনায়ন কমিটির সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম জানান, সচল হওয়া করাতকল বন্ধে ইতিমধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। কাকড়াজানের বৈলান পুরে দুটি করাত কল উচ্ছেদও করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বনসংরক্ষণ কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, সখীপুর পৌরসভার বাহিরে করাতকলগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই। কিছুদিন ধরে অবৈধ করাতকলগুলো সচল হয়েছে বলে শুনেছি। আমাদের লোকবলের অভাব থাকায় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এগুলো উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।

সর্বশেষ খবর