শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

রেলের ২৮ হাজার একর জমি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখল

উদ্ধার অভিযানের ভয় দেখিয়ে মাসোহারা নেওয়া চলছে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রায় ২৮ হাজার একর জমি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখল হয়ে রয়েছে। জমিগুলো উদ্ধার করা যাচ্ছে না, দখল ঠেকানোও যাচ্ছে না। সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু বেদখল হওয়া জমিগুলো দীর্ঘদিনেও রেল কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করতে পারেনি। জমি উদ্ধার অভিযান শুরু হবে ভয় দেখিয়ে দখলদারদের কাছ থেকে বছরের পর বছর মাসোহারা নিয়ে চলেছেন রেল বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। প্রতি জমানায় সরকারি দলের কিছু নেতা আর  রেল কর্মকর্তা দখলবাজ হন। দখলের মহোৎসব চলতে থাকায় এ জোনে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।  বর্তমানে লালমনিরহাটে রেল কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, শ্রমিক দল ও বিএনপি নেতারা একের পর এক জায়গা দখল করে চলেছেন। রেলের চিহ্নিত ও দুর্নীতিপরায়ণ নেতারা জমি লিজ দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। লালমনিরহাট রেল বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা সরাসরি এ লিজ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, একই জমি একাধিক ব্যক্তির কাছে লিজ দিয়ে সেসব কর্মকর্তা হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। জানা গেছে, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে সর্বমোট ৩৭ হাজার ৭০৫ দশমিক ৬৪ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে লালমনিরহাট বিভাগে ১১ হাজার ২৯৬ একর  এবং পাকশী বিভাগে ২৬ হাজার ৪০৯ দশমিক ৬৪ একর জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল। এর মধ্যে লালমনিরহাট বিভাগে লাইসেন্সের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৮৪ দশমিক ৪৯ একর এবং পাকশী বিভাগে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৭৯৮ একর। বাদ-বাকি রেলের বিশাল ভূ-সম্পত্তি জবরদখল করে রেলের কর্মকর্তারা ও এক শ্রেণির মানুষ ভোগদখল করছেন। তারা এসব সরকারি জমিতে ইমারত নির্মাণ করে দখলে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, অসাধু রেল কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা জমিগুলো নিজে দখল করে আবার অন্যদের সাব লিজ দিয়ে সুবিধা আদায় করছেন। জমি উদ্ধারে গঠিত কমিটি উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েও রেলের দখলে নিতে পারেনি। পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা পর‌্যায়ক্রমে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। অভিযান চলতেই থাকবে।

সর্বশেষ খবর