এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর বাজারে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় এএসআইসহ তিন পুলিশ আহত হয়েছেন। তাদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার মৃধার সঙ্গে একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান অপর আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আসন্ন ইউপি নির্বাচন ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে হাটফাজিলপুর ক্যাম্প পুলিশ ও থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এ সময় উভয় গ্রুপের সুমন, জাকির, পলাশ ও রিপন গুলিবিদ্ধ হয় এবং সংঘর্ষকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে এএসআই ডাবলু, পুলিশ সদস্য হুমায়ন, শওকত আহত হন। তাদের শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শৈলকুপা থানার ওসি তোজাম্মেল হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার মৃধা অভিযোগ করেন, আমার প্রতিপক্ষ জনসমর্থন হারিয়ে এখন শূন্য অবস্থানে রয়েছে। তিনি আমার জনপ্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে হাটফাজিলপুর ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ জামিরুল ইসলামের সহযোগিতায় বিনা কারণে আমার সমর্থিত নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান আমজাদ মোল্লা জানান, তিনিই জনসমর্থন হারিয়ে খেপে গিয়ে আমার ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালান। এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে।
