বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জয়পুরহাটে আলুর বীজ সংকটে কৃষকরা

৫৪ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে পাওয়া গেছে ৫৩০

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটে আলুর বীজ সংকটে কৃষকরা

আলু বীজ কেটে রোপার জন্য তৈরি করা হয়েছে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

জয়পুরহাটে চলতি মৌসুমে ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের জন্য প্রয়োজন ৫৪ হাজার মেট্রিক টন আলু বীজ। এর বিপরীতে বিএডিসি থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাহিদা বরাদ্দ দেওয়া হলেও পাওয়া গেছে মাত্র ৫৩০ মেট্রিক টন বীজআলু। প্রয়োজনের তুলনায় বীজ আলুর সংকট আর মূল্য চড়া হওয়ায় অনেকটাই দিশাহারা জেলার আলু চাষীরা। পাশাপাশি লোকসান ঠেকাতে আগেভাগে সরকারিভাবে আলুর মূল্য নির্ধারণের দাবি চাষীদের। বিএডিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক শফিউল আলম জানান, বিএডিসি কর্তৃক এ জেলায় আলুবীজের চাহিদা দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু পাওয়া গেছে মাত্র ৫৩০ মেট্রিক টন। আলু বীজের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বীজআলুর মূল্য বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। জয়পুরহাটে ১১৪ জন বিএডিসির তালিকাভুক্ত ডিলার রয়েছেন। তাদের মাধ্যমে কৃষকদের আলুবীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। যে বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে সেগুলো হল— এসটারিস, ইসটিক, কার্ডিনাল ও গ্যানোলা। এসটারিস ৩১ টাকা, ইসটিক ২৯ টাকা, কার্ডিনাল ২৯ টাকা, গ্যানোলা ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ডিলাররা। কৃষকরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় মণপ্রতি ১ থেকে ২০০ টাকা বেশি মূল্যে কিনতে হচ্ছে আলুবীজ। চড়ামূল্যে বীজ, সারসহ কৃষি উপকরণ কেনায় আলুর উত্পাদন খরচও হবে অনেক বেশি। এ অবস্থায় আবারো লোকসান ঠেকাতে আগেভাগে সরকারিভাবে আলুর মূল্য নির্ধারণের দাবি চাষীদের। বীজআলুর সংকট নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও উত্পাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আশাবাদি জেলা কৃষি বিভাগ।

 

সর্বশেষ খবর