বুধবার, ৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

গাইবান্ধায় আহত যুবকের মৃত্যু, ঝিনাইদহে আহত ১০

প্রতিদিন ডেস্ক

গাইবান্ধায় আহত যুবকের মৃত্যু, ঝিনাইদহে আহত ১০

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের দিন সংঘর্ষে আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় গতকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দ্াড়াল ১৩৬। এদিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচন-পরবর্তী সংঘর্ষে গতকাল আহত হয়েছেন ১০। নাটোরে দলীয় কর্মী হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে ছাত্রলীগ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— গাইবান্ধা : গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় আহত যুবক সাইদার রহমান (৩৬) রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা গেছেন। সাইদুর উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ছবেদ আলীর ছেলে। ষষ্ঠ ধাপের (৪ জুন) চলাকালে ফুলবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন তিনি। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, ওই ইউনিয়নের সদস্য প্রার্থী দুদু মিয়া ও আব্দুর রহিম মিয়ার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুর রহমানসহ চারজন আহত হন। তাদের মধ্যে সাইদুরকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ঝিনাইদহ : শৈলকুপায় ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের ব্রাহিমপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাবদার হোসেন মোল্যা ও পরাজিত প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে গতকাল এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান, নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। নাটোর : বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতিসহ নেতা-কর্মীর নামে ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে’ হত্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদ, অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে ছাত্রলীগ। জোনাইল বাজারে বড়াইগ্রাম-চাটমোহর সড়কে গতকাল মানববন্ধনকালে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে আব্দুস সোবহান হারেজ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, ২৮ মে নির্বাচনের পর দিন শাহাবুল ইসলাম ভুলনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা চামটা গ্রামে নৌকা সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও ১২ জনকে পিটিয়ে আহত করে। দুদিন পর ভুলন মারা গেলে ছাত্রলীগ সভাপতি আল মামুনসহ ৩২ জনের নামে ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে’ হত্যা মামলা করা হয়।

সর্বশেষ খবর