পটুয়াখালীর বাউফলে মা ও মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগে ঘটনায় নাজিরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজ সিকদার (৩৮) এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী মো. চুন্নু (৩২) ও মো. রিয়াজকে (৩০) আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোর রাতে নাজিরপুরের তাঁতেরকাঠি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আহসান হাবীব এই তিনজনের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গ্রেফতার নাজিরপুর ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি নূর আলম মল্লিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজিরপুর ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রহিম মীর (৩৪) ও সহসভাপতি নূর আলম মল্লিককে (৩৫) দল থেকে গত সোমবার সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। একই কারণে একই দিন ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মো. সোহেল মৃধাকেও (৩২) দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওই মা ও তার কলেজপড়ুয়া মেয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে পাশের একটি এলাকায় বেড়াতে যান। বিকালে একই মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় লঞ্চঘাট এলাকায় যান। সেখান থেকে তাদের পূর্বপরিচিত হারুন মৃধা নামের এক যুবক তাদের তেঁতুলিয়া নদীতে বেড়ানোর জন্য ট্রলারে করে নিয়ে যান। বেড়ানো শেষে সন্ধ্যার দিকে তাদের একটি চরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগেই সেখানে যান যুবলীগের কর্মী নূর আলম মল্লিক ও সোহেল মৃধা (৩২) এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রহিম মীর (৩৪)। এই তিনজনসহ ছয় যুবক মা ও মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ডাকাত ভেবে তাদের আটকের চেষ্টা চালান। তখন পাঁচজন পালিয়ে গেলেও নূর আলম মল্লিককে তারা ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১২টার দিকে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং নূর আলম মল্লিককে আটক করে।