মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান হাওলাদারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। দখল করা জমিতে মাছের ঘের করার জন্য তড়িঘড়ি করে মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করেছেন চেয়ারম্যান। সংখ্যালঘু সাতটি পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে, চেয়ারম্যান তাদের ৫ একর কৃষি জমি দখল করে নিয়েছেন। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জমি দখলের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর জমিতে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকালে থানার ওসি দখলের বিষয়ে আরও জানান, স্থানীয়ভাবে দখল করা জমি ফেরত দেওয়ার বিষয়ে একটি মীমাংসা হয়েছে। সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে চেয়ারম্যানের জমি ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এক অভিযোগকারী জানান, জমি ফেরত দেয়নি। মীমাংসার বিষয়ে কিছু জানি না। জানা যায়, তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান হাওলাদার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স সংলগ্ন প্রায় ২২ একর কৃষি জমিতে মাছ চাষ করার জন্য ঘের তৈরির কাজ শুরু করেন। শাহজাহান হাওলাদারের ওই ঘেরের মধ্যে স্থানীয় পঙ্কজ বেপারী ও তার ভাই মনোজ বেপারী, প্রদীপ বেপারী এবং একই এলাকার দীপক বেপারী, হাসি রানী, সুধীর দেবনাথ ও সুশীল দেবনাথের পৈতৃক ৫ একর কৃষি জমিতে জোরপূর্বক মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারগুলোর। শাহজাহান হাওলাদারকে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ফোন করা হলে পরিচয় জানার পর বলেন, তিনি একটি ইফতার পার্টিতে আছেন, কথা বলা যাবে না। ইফতার পার্টিতে তার সঙ্গে এমপি মহোদয়ও আছেন বলে ফোন কেটে দেন।