মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

নীলফামারীতে লুটপাটে ব্যস্ত বিদায়ী চেয়ারম্যান মেম্বাররা

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে ভিজিএফ চাল বিতরণ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওজনে কম দেওয়ার পাশাপাশি ভুয়া তালিকা করে আত্মসাৎ করা হচ্ছে গরিবের চাল। তালিকায় নাম আছে তো বাবার নামের মিল নেই। গ্রাম নেই। এমনকি তালিকায় থাকা লোক গোটা ইউনিয়নে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে মঙ্গলবার নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নে চাল বিতরণে অনিয়মের কারণে উত্তেজিত মানুষের রোষানলে পড়েন ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম। উত্তেজিত লোকজন তাকে গুদাম ঘরে আটকে রাখে বলে জানান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার রবিউল ইসলাম ও ২নং ওয়ার্ড মেম্বার লিখন অভিযোগ করে বলেন, চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। ভুয়া তালিকা করে ১০-১২ কেজি করে চাল বিতরণ করে বাকি চাল আত্মসাৎ করা হচ্ছে। ওই ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম জানান, তিনিও অভিযোগ পেয়েছেন। এলাকার শত শত মানুষ চাল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ করছেন। অপর দিকে একই অবস্থা সদর উপজেলার চড়াইখোলা, সোনারায়, পঞ্চপুকুর, কুন্দুপুকুর, চাপড়াসরমজানীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল নিয়ে শুরু হয়েছে হরিলুট কারবার। বিদায়ী চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অনেকটা চাল চুরির উৎসবে মেতে উঠেছেন। এছাড়া জলঢাকা উপজেলাতেও ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম ও কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও জলঢাকা পৌরসভার ৮১ হাজার সুবিধাভোগীর মধ্যে ২০  কেজির স্থলে ১০ কেজি চাল বিতরণ করে বাকি চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর