মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

কুয়াকাটা রক্ষাবাঁধ হুমকির মুখে

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কুয়াকাটা রক্ষাবাঁধ হুমকির মুখে

জোয়ারের পানির তোড়ে বাঁধের সিসি ব্লক সরে গেছে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

সৈকতের বালু ক্ষয়ের কারণে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার মূল রক্ষা বাঁধটি এখন হুমকির মুখে পড়েছে। সাগরের ঢেউয়ের তাণ্ডবে ইতিমধ্যে জিরো পয়েন্ট, ঝাউ বাগান, ইকোপার্ক ও নারিকেল কুঞ্জ সংলগ্ন সৈকতের প্রায় ৩০ ফুট বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৮ নং  পোল্ডারের খাজুরা-মাঝিবাড়ি ও মিরাবাড়ি অংশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জোয়ারের পানির  তোড়ে বাঁধের কূলের সিসি ব্লক সরে গেছে। এ ছাড়া বাঁধের অন্য অংশের মাটিও সরে গিয়ে বিভিন্ন অংশে  ছোট-বড় অনেক গর্ত ও ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেন তাহলে অল্প দিনের মধ্যে মূল বেড়ি বাঁধ বিলীন হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা করেছে ওখানকার ব্যবসায়ীরা।  দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতের একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য পৃথিবীতে বিরল। এ কারণে শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা সব ঋতুতেই স্থানটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদভারে মুখরিত থাকে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ  ঢেউয়ের তাণ্ডবে কুয়াকাটার মূল রক্ষা বাঁধটি এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন স্থায়ী বাসিন্দা সেকান্দার গাজী জানান, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড যে ব্লক বসিয়ে ভাঙনরোধে চেষ্টা করছে তা কোনো কাজেই আসছে না। বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম শামছুর দোহা জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারে ঝাউ বনের বেশ কয়েটি গাছ নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া নষ্ট হয়েছে যাওয়া গাছগুলোর তালিকা করা হয়েছে।  কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ এম মিজানুর রহমান বুলেট জানান, বিচের বেহাল দশা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে কিংবা দুর্যোগ হলে ভাঙনের ব্যাপকতা দেখা দেয়। আর ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগ হলে তো কথা নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের জানান, ভাঙন রোধে দুটি সমন্বিত প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছেন।

খুব শিগগিরই বরাদ্দ পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন হলে ভাঙন রোধ হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

সর্বশেষ খবর