শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চাঁপাইয়ে পদ্মায় বিলীন চার শতাধিক ঘরবাড়ি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইয়ে পদ্মায় বিলীন চার শতাধিক ঘরবাড়ি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের কটাপাড়া গ্রামে তীব্র ভাঙন

পদ্মা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়টি ইউনিয়নে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে চার শতাধিক ঘরবাড়িসহ আড়াইশ একর ফসলি জমি, আমবাগান, মসজিদ ও বিদ্যালয়।

জানা গেছে, পদ্মার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ফারাক্কা থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গার গোয়ালডুবি, মালবাগডাঙ্গা, রোডপাড়া, কাইরাপাড়া, শাজাহানপুরের হাকিমপুর, দুর্লভপুর, আলাতুলীর ছয়রশিয়া, বালুগ্রাম, রানীনগর, দেবীনগরের হড়মা, নারায়ণপুরের সোনার্দিপাড়া ও ফারাক্কা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর, হলদিবোনা, জামাইপাড়া, কটাপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় ভাঙন চলছে। গত এক সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে চার শতাধিক ঘরবাড়ি ও আড়াইশ’ একর ফসলি জমি, আমবাগান, কুলবাগান, মসজিদ ও পাঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। হুমকির মুখে রয়েছে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ, বাখেরআলী বিওপি, মাদ্রাসা, চরবাগডাঙ্গা হাটসহ বহু ঘরবাড়ি।

এদিকে, চরবাগডাঙ্গার গোয়ালডুবি থেকে রোডপাড়া পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। এলাকার মানুষ আকস্মিক বন্যার পানিতে ডুবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি নদীভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকদিনের বন্যায় ডুবে থাকা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু পরিবার ১০ কেজি করে চাল ও এক হাজার টাকা ছাড়া তেমন ত্রাণ পাননি। নদীভাঙনের শিকার কটাপাড়ার আইরিন বেগম জানান, দুদফা বাড়িঘর নদীগর্ভে হারিয়ে পরের একখণ্ড জায়গায় কুঁড়েঘর করে কোনোরকমে ঠাঁই মিললেও এবারের ঈদুল আজহায় তার পরিবারসহ গ্রামের অনেক পরিবারে ঈদ আনন্দ নেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম জানান, স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ২৫০০ মিটার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর