শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

খানসামায় গ্রেফতার আতঙ্ক পুরুষশূন্য পাঁচ গ্রাম

কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের খানসামার পাঁচ গ্রামের মানুষের এখনও গ্রেফতার আতঙ্ক কাটেনি। ভয়ে এখনো পুরুষরা রাতের বেলায় বাড়িতে থাকতে পারছেন না। গ্রামগুলো হলো, খানসামা উপজেলা সদরসহ বানগাঁও, বিষ্ণুনপুর, জাহাঙ্গীরপুর, গোবিন্দপুর, বেলপুকুর। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে এগুচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান। খানসামা ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণের দাবিতে খানসামা ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ বাস্তবায়ন কমিটির ডাকা গত রবিবার হরতাল চলাকালে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতসহ ৭২৮ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের খানসামা সদরের ওয়ার্ড মেম্বার আনিছুর রহমান বলেন, এলাকার পুরুষরা গ্রেফতার আতঙ্কে কেউ বাড়িতে থাকেন না। মিছিল-মিটিং-এ আমি ছিলাম না। অথচ আমার নামে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার ভয়ে দিনমজুররাও কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন। আলোকঝাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আ স ম আতাউর রহমান বলেন, আন্দোলনে ছিলেন না এমন লোকও মামলায় আসামি হয়েছেন। তাই  বেশিরভাগ যুবক গ্রেফতার ভয়ে বাড়িতে নেই। তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। খানসামা থানার ওসি অজ্ঞাত কোনো ব্যক্তিকে আটক করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে, আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের হামলা, খানসামা বাজার সংলগ্ন বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর শিশু ও মহিলা নির্যাতনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি দিনাজপুর জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মেহেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল এক যুক্ত বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহার করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, দিনাজপুরের খানসামা ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে গত রবিবার পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৩ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশ খানসামা থানায় দুটি মামলা দায়ের করে। এর আগে ২৭ নভেম্বর একই দাবিতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় সংঘর্ষে শিক্ষকসহ দুজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছিলেন।

সর্বশেষ খবর