কুড়িগ্রামে তিনদিন ধরে তীব্র ঠাণ্ডা অব্যাহত থাকায় দুর্ভোগ বেড়েই চলছে মানুষের। সন্ধ্যা নামার আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বাজারসহ রাস্তাঘাট। জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উঠানামা করছে ৫ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সূর্য্যের দেখা মিললেও দিনের বেলায় কমছে না ঠাণ্ডার প্রকোপ। ফলে কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে নিন্ম আয়ের লোকজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত রোগে। হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহিনুর রহমান রবিবার জানান, এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। ঠাণ্ডাজনিত অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে আরো ১৮৫ জন। কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের ডিসি নুরুল আমিন জানান, আমরা ইতিমধ্যে সরকারিভাবে ৫৩ হাজার ১৮৫টি কম্বল বিতরণ করেছি। শীতার্তদের জন্য আরও ৩০ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে।
