বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

কম্পাউন্ডার যখন সার্জন

নওগাঁ প্রতিনিধি

ঢাকায় এক চিকিৎসকের কম্পাউন্ডার ছিলেন ময়েন উদ্দীন। সেখান থেকে প্রায় ১০ বছর আগে চলে আসেন নওগাঁর পত্নীতলায়। বদলে যায় তার পরিচয়ও। তিনি বনে যান সার্জন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। গতকাল ভোররাতে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুরে অস্ত্রোপচারের সময় র‌্যাবের কাছে হাতেনাতে আটকের পর ১৮ মাসের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানায় দণ্ডিত হন তিনি। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে আশ্রয় দেওয়ার দায়ে ক্লিনিকের মালিক বাবুল আক্তারকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এ বিষয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন—র‌্যাব-৫-এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আরাফাত রহমান জানান, র‌্যাবের কাছে তথ্য ছিল ভুয়া চিকিৎসক ময়েন পত্নীতলার নজিপুর, ধামইরহাট ও সাপাহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেন। গতকাল ভোররাত ৫টার দিকে র‌্যাবের একটি দল নজিপুরের জমজম ক্লিনিকে অভিযান চালায়। এ সময় ময়েন উদ্দীন এক প্রসূতির অস্ত্রোপচার করছিলেন। পরে ওই রোগী ও তার নবজাতককে ওই ক্লিনিক থেকে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড দেন। এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, ময়েন দাবি করেন তিনি ঢাকায় এক বিশেষজ্ঞ সার্জনের কম্পাউন্ডার হিসেবে কাজ করেছেন। ওই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে নজিপুর, ধামইরহাট ও সাপাহারের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর