রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শৈলকুপা আওয়ামী লীগে উত্তেজনা

রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশঙ্কা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শৈলকুপা আওয়ামী লীগে তৈরি হয়েছে গ্রুপিং। একের পর এক ঘটছে সহিংস ঘটনা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দুই গ্রুপে সংঘর্ষে পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রেজাউল জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলায় বিরাজ করছে উত্তেজনা। যে কোনো সময় আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দলীয় হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শৈলকুপা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

সূত্র জানায়, শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিকদার মোশারেফ হোসেন সোনা ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মুন্নুর মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। এক সময় শৈলকুপা আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচালিত হতো জেলা সভাপতি আব্দুল হাই এমপির নির্দেশে। গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সৃষ্টি হয় গ্রুপিং। কারণ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব জোয়ার্দ্দার দশম সংসদ নির্বাচনে আব্দুল হাই এমপির সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ভোটের মাঠে আব্দুল হাই’র কাছে টিকতে পারেননি। শৈলকুপায় যেখানে সংঘর্ষ হচ্ছে সেখানে দেখা যাচ্ছে এই দুই গ্রুপের অনুসারী। এছাড়া ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়ন নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন ও তার ছেলেকে পিটিয়ে-কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। তখন অভিযোগ উঠে জেলা সভাপতি আব্দুল হাই এমপির এপিএস আব্দুল হাকিমের নির্দেশে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এই হামলা করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আব্দুল হাকিমকে প্রধান করে দলীয় নেতাকর্মীর নামে থানায় মামলা করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের কয়েকজন জানান, আলোচিত ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় নেতা-কর্মীরা আরো মারমুখি হয়ে পড়েছেন। এর বহিপ্রকাশ ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। তুচ্ছ ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র আশরাফুল আজম গ্রুপ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মুন্নু-সাবেক থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তৈয়ব গ্রুপ এ দিন বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ খবর