শিরোনাম
শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

মীরু ড্রাইভারের লোকদের হাতে জিম্মি নুরু গাজীর পরিবার

সাভার প্রতিনিধি

ট্রাকচাপা দিয়ে খোদেজা বেগম হত্যার দায়ে আদালতে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশপ্রাপ্ত মীরু ড্রাইভারের লোকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে নুরু গাজীর পরিবার। খোদেজার স্বামী নুরু গাজী (৬০)। ২০০৩ সালের ২০ জুন সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার ঝাউচর গ্রামে নিজ পারিবারিক রাস্তায় নুরু গাজীর স্ত্রী খোদেজা বেগমকে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা করে প্রতিবেশী ট্রাকচালক মীর হোসেন মিরু। এ হত্যার দায়ে ঢাকার একটি আদালত মীর হোসেনকে গত সোমবার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। রায় ঘোষণার পর পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘটের নামে সারা দেশে নৈরাজ্য চালায়। ঝাউচর গ্রামেও নুরু গাজীর পরিবারকে জিম্মি করে ফেলে ট্রাকচালক মীরুর আত্মীয়স্বজন ও পরিবহন শ্রমিকরা। এমনকি নুরু গাজীর কাছে সাংবাদিক আসতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। নুরু গাজী বলেন, রায় ঘোষণার পরপরই আদালতে মীরু ড্রাইভার আমাকে বাঁচতে দেবে না বলে হুমকি দেয়। এখন ওই হুমকি বাস্তবায়ন করছে তার লোকেরা। আমি যাতে বাড়ি থেকে বের হতে না পারি সে জন্য বাড়ির চারদিকে পাহারা বসানো হয়েছে। তিন দিন ধরে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। নুরু গাজীর ছেলে বিল্লাল হোসেন বলেন, ১৩ বছর ধরে মামলা চলেছে। এ সময়ে মীরু জামিনে এলাকায় ছিল। প্রায় সময় সে মদ্যপ অবস্থায় এসে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাত। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বারবার হুমকি দিত। এখন ওর লোকেরা যে অবস্থা করেছে তাতে বলা যায়, আমরা বাঘের রাজ্যে হরিণ হয়ে বাস করছি। নুরু গাজীর প্রতিবেশী সলিম মিয়া জানান, খোদেজা হত্যাকাণ্ডকে ওরা ট্রাক দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে। এখনো করছে। সেই মতলবেই পরিবারটিকে ওরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় নিক্ষেপ করতে চাইছে। জানা গেছে, রায় ঘোষণার পর নুরু গাজীকে বুধবার রাতের একটি টকশো অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতে এসেছিল বেসরকারি এক টিভি চ্যানেল। চ্যানেলটির গাড়ি এলে মীরু ড্রাইভারের আত্মীয়স্বজনরা ঘেরাও করে। গাড়িটি নুরু গাজীকে ছাড়াই ফেরত যায়। সাভার মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, তারা এখনো কোনো অভিযোগ পাননি। তবুও পরিবারটির নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।  ভয় দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মীরুর ভাই রিপন হোসেন।

সর্বশেষ খবর