অস্তিত্ব সংকটে এক সময়ের খরস্রোতা শাখা যমুনা নদী। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ নদীটি এখন ধু-ধু বালুচর। দীর্ঘদিন খনন ও সংস্কার না করায় হারিয়েছে নাব্যতা। নদীর অনেক স্থানে চাষ হচ্ছে ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল। নদীটিতে পানি না থাকায় স্থানীয় কৃষক চাষাবাদ করছেন ভূ-গর্ভের পানি সেচ দিয়ে। এতে ভূ-গর্ভের পানির অপচয়ের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য হারানোর আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা।
ফুলবাড়ীর পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এক সময় এ নদীর পানি দিয়ে চলতো চাষবাদ। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন কয়েকশ জেলে পরিবার। এখন নদীতে পানি নেই। তাই জেলেরা পেশা পরিবর্তন করেছেন। খনন না করায় বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই নদী ভরাট হয়ে আশপাশের বাড়িঘর ও ফসলের জমিতে ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি করে। ফুলবাড়ী উপজেলা পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক ডা. ওয়াজেদুর রহমান বাবলু বলেন, ‘সারা বিশ্বে নদী হচ্ছে পাড়ের বাসিন্দাদের আশীর্বাদ। কিন্তু এ দেশের নদীগুলো পাড়ের বাসিন্দাদের অভিশাপ। কারণ নদীগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি না।’ নদীটির খননের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় শিবনগর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী।