আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুই খুনের ঘটনায় আবারও অশান্ত হয়ে উঠছে পাহাড়। জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে স্থানীয় প্রশাসন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পাহাড়ে সংঘাত বাড়তে পারে। গতকাল বিকালে পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমা হত্যার বিচার দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য দেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। এছাড়া বিকালে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা যুবলীগ। এ সমাবেশ থেকে রাঙামাটিতে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় সংগঠনটি। এদিকে নানিয়ার চরে সাবেক ইউপি মেম্বার অনাদি রঞ্জন চাকমা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালন করা হবে। জানা গেছে, পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তিচুক্তির পর আবারও বৃদ্ধি পায় সংঘাত। চুক্তি মানা না মানা নিয়ে সৃষ্টি হয় কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন। সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ফিরোজা বেগম চিনু বলেছেন, সরকার পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি আনতে চেয়েছিল। কিন্তু বন্ধ হয়নি পাহাড়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। জনসংহতি সমিতি বলছে তারা অস্ত্রবাজি করে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুন্না বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্রধারীদের কারণে পার্বত্যাঞ্চলে চাঁদাবাজি, খুন, গুম, অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শান্তিচুক্তির পর আমরা ভেবেছিলাম পাহাড়ের মানুষ নির্ভয়ে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু অস্ত্রধারী আঞ্চলিক সংগঠনের কারণে সব স্বপ্ন ভেস্তে গেছে। তাই পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে এমন পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান জানান, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও পাহাড়ের পরিস্থিতি এখনো প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।