কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত থাকায় এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় মারধরের ঘটনা ঘটে এবং গতকাল সকালে ভয়ে হল ছাড়েন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক জব্বার হলে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হলটির প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়াউল হক। ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম অভিষেক মণ্ডল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গত ৯ এপ্রিল কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধে অংশ নেন জিয়াউল। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে আহত হন তিনি। আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অভিষেকের সঙ্গে জিয়াউলের দেখা হয়। ওই সময় অভিষেক জিয়াউলকে হলে ফিরতে নিষেধ করেন। পরে পারিবারিক সমস্যার কারণে মাঝখানে কিছুদিন ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন তিনি। গত রবিবার হলে ফিরলে অভিষেকের সঙ্গে দেখা হয় তার। নিষেধ করা সত্ত্বেও কেন জিয়াউল হলে ফিরেছেন তা জানতে চান অভিষেক। এরপর দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় মারধর করে জিয়াউলকে হল ছাড়তে বলেন তিনি। এ সময় জিয়াউলের মুঠোফোনটিও ছিনিয়ে নেয় অভিষেকের সঙ্গে থাকা কয়েক ছাত্রলীগ কর্মী। অভিষেক মণ্ডল বলেন, ‘জিয়াউল ছাত্রদলের কর্মী। গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে মেরে হল থেকে বের করে দিয়েছি।’