শিরোনাম
বুধবার, ১৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

অপমানে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাপুইর গ্রামের স্কুলছাত্রী জান্নাত আক্তার লিমা অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। মাছিহাতা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. উদয় খান ও তার লোকজন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে লিমাকে প্রকাশ্যে মারধর করেছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। এ সময় লিমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে এমন কথা বলে ইয়াছিন নামে এক যুবককেও মারধর করা হয়। লিমা চাপুইর আজিজুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. নুরুল হক ভূঁইয়ার একমাত্র মেয়ে।

গত রবিবার সকালে নিজ বাড়িতেই সে আত্মহত্যা করে। ময়নাতদন্ত শেষে গত সোমবার বিকালে লিমার লাশ দাফন করা হয়। প্রথম দিকে বিষয়টি লুকানো থাকলেও এখন তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা জানান, আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের মো. ইয়াছিন নামে এক যুবক লিমাদের বাড়িতে বছর দুয়েক আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। গত রবিবার সকালে লিমা ও ইয়াছিনকে চাপুইর এর পার্শ্ববর্তী গ্রাম খেওয়াই এলাকায় মারধর করে উদয় খান ও তার লোকজন। মারধরের পর লিমাকে তার এক আত্মীয় এসে নিয়ে যায়। অন্যদিকে ইয়াছিনকে চাপুইর আজিজুল হক উচ্চবিদ্যালয়ে আটক করে রাখা হয়। এরই মধ্যে লিমা নিজ বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

লিমার মা অভিযোগ করেন, উদয় ও অন্যান্যরা তার মেয়েকে প্রকাশ্যে মারধর করেছে। আর এ অপমান সইতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় তিনি সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমানও একই অভিযোগ করে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে গিয়ে উদয় কিংবা তার বাবা রহিজ খানকে পাওয়া যায়নি। উদয়ের মা লুত্ফা বেগম বলেন, আমার ছেলে কাউকে মারধর করেনি। লিমার লাশের ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর