সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

ধরলায় বিলীন অর্ধশত বসতবাড়ি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

ধরলায় বিলীন অর্ধশত বসতবাড়ি

লালমানিরহাটে ধরলা নদীর ভাঙনকবলিত বসতভিটা ও ফসলি জমি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

লালমনিরহাটে সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অব্যাহত রয়েছে ধরলা নদীর ভাঙন। গত এক সপ্তাহের তীব্র ভাঙনে সদর ও পাটগ্রাম উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। একই সঙ্গে নদীতে চলে গেছে বহু ফসলি জমি ও গাছপালা। হুমকির মুখে রয়েছে শতাধিক বসতভিটা।

সরেজমিন দেখা যায়, সদর উপজেলার কুলঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ী এবং পাটগ্রামের শ্রীরামপুর, জোংড়া, বুড়িমারী ইউনিয়নের ২২টি পয়েন্টে নদীভাঙন তীব্র হয়েছে। এর মধ্যে জোংড়া, কুলাঘাট ও মোগলহাটের অবস্থা উদ্বেগজনক। এ তিন ইউনিয়নের কিছু এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে চলছে বাঁধ নির্মাণ। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, বাঁধ নির্মাণের কাজ পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে না। ফলে ভাঙনের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, ‘আমরা ত্রাণ চাই না। স্থায়ী সমাধান চাই। বাঁধ দিয়ে ধরলা নদী শাসন করতে পারলে আমাদের গ্রামের চিত্র বদলে যাবে।’ জোংড়া ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী ও মোগলহাটের হাবিবুর রহমান জানান, গত এক সপ্তাহে নদীভাঙনে এ দুটি ইউনিয়নের ২১টি বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ভাঙন রোধে পাটগ্রামের জোংড়া ইউনিয়নে ১০টি প্যাকেজে ২৪ কোটি টাকার কাজ চলছে। এ ইউনিয়নে সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে চলছে ধরলা নদীর খননকাজও। এছাড়া সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে আটটি প্যাকেজে আট কোটি টাকার কাজ চলছে।

সর্বশেষ খবর