শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গণধর্ষণের ঘটনা শালিসে রফা!

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। ঘটনাটি শালিস বৈঠকে পাঁচ লাখ টাকা ও ৩০ শতাংশ জমির বিনিময়ে আপস রফা করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলার ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে মহিষমারা গ্রামের আরিফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও শফিকুল ইসলাম উত্ত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিত। মেয়েটি নোংরা প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়। গত ১৫ আগস্ট সকালে মেয়েটি ফুফুর বাড়ি যাওয়ার পথে ওই তিন বখাটে তাকে তুলে একটি বাগানে নিয়ে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। জ্ঞান ফেরার পর মুখের বাঁধন খুলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠান। এ ব্যাপারে ছাত্রীর বাবা মামলা করতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসলিম উদ্দিনসহ মাতব্বররা মীমাংসার নামে গড়িমসি করতে থাকেন। ভিকটিমের বাবা জানান, গত রবিবার মুসলিম উদ্দিনের বাড়িতে শালিস বৈঠকে বসে। বৈঠকে গণধর্ষণের জরিমানা হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা ও ৩০ শতাংশ জমির বিনিময়ে আপসরফার সিদ্ধান্ত দেন। এ সিদ্ধান্ত বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষই না মানায় শালিস পণ্ড হয়। অবশেষে মঙ্গলবার স্কুলছাত্রীর বাবা মধুপুর থানায় তিনজনের নামে মামলা করেন। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মধুপুর থানার ওসি জানান, মামলাটি তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নজরুল ইসলামকে। আসামি গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর